জাপান সরকার বলেছে, সম্ভাব্য মেগা ভূমিকম্প মোকাবিলায় আরও অনেক কিছু করতে হবে, যাতে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। ভূমিকম্পের ব্যাপারে আগাম নির্ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন হলেও, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক সরকারি প্যানেল জানায়, পরবর্তী ৩০ বছরে নানকাই ট্রাফে বড় ধরনের একটি ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেড়ে ৭৫-৮২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এরপর মার্চ মাসে সরকার জানায়, একটি মেগা ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামির ফলে প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে এবং ক্ষতির পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
২০১৪ সালে জাপান একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা প্রকাশ করে, যার লক্ষ্য ছিল মৃত্যুহার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো। কিন্তু কিওডো নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপগুলো শুধু মৃত্যুর সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে সক্ষম হবে। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার একটি হালনাগাদ প্রস্তুতি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনার মূল সুপারিশসমূহ হলো নিরাপত্তা বাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে গতি আনা, নিয়মিত মহড়া চালিয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর একযোগে প্রস্তুতি গ্রহণ। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এক সরকারি সভায় বলেন, স্থানীয় সরকার, কোম্পানি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর একসঙ্গে কাজ করা জরুরি, যাতে যত বেশি সম্ভব জীবন রক্ষা করা যায়। নানকাই ট্রাফ একটি ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রতলের খাদ যা জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর বিস্তৃত। এখানে একটি টেকটোনিক প্লেট ধীরে ধীরে অন্য একটি প্লেটের নিচে সরে যাচ্ছে। গত ১৪০০ বছরে এই এলাকায় প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছর পরপর বড় ভূমিকম্প ঘটেছে। সর্বশেষ ভূমিকম্পটি ছিল ১৯৪৬ সালে। গত আগস্টে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা প্রথমবারের মতো জানিয়েছিল যে, মেগা ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেড়েছে। তবে এক সপ্তাহ পর সেই সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা
২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে
- আপলোড সময় : ০২-০৭-২০২৫ ০৯:০৬:৪৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৭-২০২৫ ০৯:০৬:৪৪ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ